আগে থেকেই ছোলার ডাল বারেবারে ধুয়ে জল ফেলে ফেলে স্বচ্ছ করে ৬/৭ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রাখা ডালের জল ফেলে দিয়ে ১ কাপ দুধ ও ১ কাপ জল মিশিয়ে ডাল সেদ্ধ করতে গ্যাসে বসাতে হবে।
এবারে প্যানে একটা ঢাকা দিয়ে দিতে হবে আর মাঝে মধ্যে ঢাকা খুলে নেড়ে নিতে হবে।
ডাল ভিজে গিয়ে নরম হয়ে যাবার জন্য সেদ্ধ হতে খুব বেশি সময় নেবে না।
জল মিশ্রিত দুধটা কিছুটা টেনে গেলে হাতে চেপে দেখতে হবে, ডাল সেদ্ধ হয়েছে কিনা, হাতের চাপেই গলে গেলে বুঝতে হবে ডাল সেদ্ধ হয়েছে তখন গ্যাস অফ করে ঠান্ডা করতে হবে কিছুটা। (এক্ষেত্রে ডাল সেদ্ধ তে দুধ থেকে গেলেও কোন অসুবিধা নেই)
দুধের মধ্যে থাকা সেদ্ধ ডাল্ টা কিছুটা ঠান্ডা হলেই মিক্সার জারে ঢেলে, চিনি ৫ চামচ দিয়ে মাঝারি ঘনত্বের একটা পেস্ট বানাতে হবে।(যদি খুব ঘন মনে হয় পেস্ট টা তাহলে আর একটু জল দিয়ে পাতলা করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে নয়তো ক্ষীরের সাথে নাড়তে অসুবিধা হবে।)
অন্যদিকে রসালো পুরের জন্য ছানার সাথে ময়দা সুজি মিশিয়ে ভালো করে ঠেসে ১৫ মিনিট মত মাখতে হবে। (মাখার পরে ছানা যখন মসৃন ভাবে হাতে গোল করা যাবে, কোন এবড়ো খেবড়ো হচ্ছে না, বুঝতে হবে মাখা হয়ে গেছে)
এবারে ছানা মাখা মন্ড থেকে কয়েকটা ছোটো ছোট গোল রসগোল্লা র মত বানাতে হবে।
এবারে অন্য একটা পাত্রে চিনির রস তৈরি করে নিতে হবে
এই রস ফুটতে শুরু করলেই ময়দা গোলা জল টা দিতে হবে আর এর থেকে ফেনা ভাব উঠলেই গ্যাসের আঁচ মাঝারি থেকে একদম কম করে দিতে হবে
এবারে এই রসে, গড়ে রাখা রসগোল্লা গুলিকে ছেড়ে দিয়ে আঁচ আবার মাঝারি করে দিতে হবে।
একটু বেশি সময় ধরে রস ঘন করলে রসগোল্লা গুলি অনেকটাই চমচমের মত,সাদা রসগোল্লা থেকে লালচে ভাবের রঙ এ হয়ে যাবে এবং সাইজেও বড় হয়ে যাবে আগের তুলনায়।
হয়ে যাবার পরেও এগুলিকে ঘন রসেই ডুবিয়ে রেখে দিতে হবে ঢাকা দিয়ে।
কমলা লেবুর বাইরের আস্তরনের জন্য একটা ননস্টিক প্যানে ঘি দিতে হবে, ঘি অল্প গলতে শুরু হলেই লিকুইড বাকি দুধ টা ও কন্ডেন্সড মিল্ক টা দিয়ে সাথে সাথে নেড়ে মেশাতে হবে ঘিতে।
এবারে এতে গুড়ো দুধ ও পাতলা ছোলার ডালের পেস্ট মিশিয়ে খুব দ্রুততর ভাবে অনবরত নাড়তে হবে। (নইলে গুড়ো দুধ ও ডালের পেস্ট দলা দলা হয়ে যেতে পারে,মসৃন করে নেওয়া তখন কষ্টকর হবে)
ক্রমাগত নাড়তে নাড়তে ডাল ও দুধের ক্ষীরের মিশ্রন শুকনো হয়ে ঘন হতে থাকবে। এই সময়ে খুব সতর্ক হয়ে আরও ভালো করে ক্রমাগত মিলিয়ে মিশিয়ে নেড়ে যেতে হবে। (তলায় ধরে পোড়া লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে যত ঘন হতে থাকবে তাই উলটে পালটে নাড়তেই হবে)
যখন, আস্তরনের জন্য ডাল ও দুধ মিশ্রিত ক্ষীর প্যানের গা থেকে আপনা থেকেই সহজেই আলগা হতে থাকবে তখন বুঝতে হবে ক্ষীর তৈরি হয়ে গেছে। গ্যাস অফ করতে হবে।
এবারে গরম অবস্থাতেই ক্ষীর টা দুটো ভাগ করতে হবে। একভাগ এ একটা লেচি সমান ভাগ রাখতে হবে অন্য ভাগে বেশির ভাগ ক্ষীরটাই রাখতে হবে।
এবারে কম ভাগের ক্ষীরে সবুজ রঙের ফুড কালার ৩ ফোঁটা দিতে হবে। আর বেশি ভাগের ক্ষীরে ৪ ফোঁটা কমলা রঙের ফুড কালার দিতে হবে।
এবারে দুটো ভাগ কে দুই রকম রঙ এ রঙিন করতে ভালো করে মেখে নিতে হবে যাতে গোটা ক্ষীরেই সমান ভাবে রঙটা মিশে যায়।
এবারে রসের ভিতর থেকে রসালো গোল চমচম তুলে প্লেটে রাখতে হবে।
এবারে কমলা রঙের ক্ষীর থেকে একটা করে সমান মাপের বল তৈরি করতে হবে।
কমলা বল টা বাটির মত শেপ করে ওতে একটা করে গোল চমচম ভরতে হবে।
চমচম ভরার পরে আবার সুন্দর করে চারিদিক থেকে মুখ বন্ধ করে হাতেই গোল করে গড়তে হবে সব গুলিই।
এবারে এই কমলা বল গুলির মাথার উপরের দিকে তর্জনী আঙুল বা কড়ে আঙুল দিয়ে ছোট গর্ত করতে হবে।
এইভাবে সব বলেই গর্ত করে নিতে হবে।
এবারে সবুজ ভাগের ডাল ও দুধের ক্ষীরের ভাগ থেকে ছোট্ট একটা বল নিয়ে নিয়ে হাতে চেপে পাতলা করে পাতা র শেপ বানাতে হবে।
এবারে একটা কাঠের টুথপিক দিয়ে পাতা শেপের ঠিক মাঝ বরাবর চেপে বসিয়ে পাতার শিরের দাগ করতে হবে।
এবারে মাঝের দাগের বরাবর দুইপাশ থেকেও দাগ কেটে দিতে হবে টুথপিক চেপে চেপেই ঠিক পাতায় যেমন থাকে।
আর একটা ছোটো সবুজ দলা নিয়ে গর্তের মধ্যে বসিয়ে বোটার মত চেপে দিয়ে পাতা গুলিকেও হাল্কা চেপে বসিয়ে দিতে হবে যেকটা কমলালেবু হবে সেই অনুযায়ী।
এবারে সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়ে পরিবেশন করলে বাচ্চারাও খুব খুশি হবে এই স্বাদে রসে ভরা রসালো কমলালেবু মিষ্টি পেয়ে। (আবার এই মিষ্টি কয়েকদিন ধরে রেখেও খাওয়া যাবে।)
আপনি এই রেসিপিটি কীভাবে রেট করবেন? আপনার রিভিউ জমা দেওয়ার আগে দয়া করে একটি রেটিং যোগ করুন।
রিভিউ জমা দিন