Home / Kids Health in Bengali / চিকেন পক্স বা জল বসন্ত এর কারণ, লক্ষন আর চিকিৎসা
অন্যান্য সাধারণ সংক্রমণ এবং রোগের তুলনায় চিকেনপক্স একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ এবং এই রোগের প্রধান চরিত্রটি সমস্ত ত্বকে লাল ফোসকাগুলির উপস্থিতি। এই রোগের ভাইরাস এর সংস্পর্শে যদি কেউ আসে তবে তা খুব দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অতএব, সংক্রামিত ব্যক্তির পুরোপুরি সুস্থ হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকা এবং অন্য কারোর সংস্পর্শে না আসা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। চিকেনপক্স সাধারণত 2 থেকে 4 সপ্তাহ স্থায়ী হয় .
Table of Contents
এই রোগ হওয়ার কারণ ভারিসেলা জস্টার ভাইরাস varicella zoster virus (VZV) । এটা ৮ টির মধ্যে একটা হারপিস ভাইরাস যা মানুষের শরীরে ক্ষতি করে । এই জল বসন্ত রোগ অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়িয়ে পরে ঠাণ্ডা লাগা বা ফ্লু এর মতো । এটা ছড়িয়ে পরে আক্রান্ত ব্যাক্তির কাশি আর হাঁচি থেকে কারণ এর জীবাণু কণা বাতাসে থাকে অনেক দিন ধরে । এটা তখন ও হয় যখন আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসে কেউ কারণ ওই ফোস্কায় ভারিসেলা জস্টার ভাইরাস থাকে ।
এই রোগের নানা রকম লক্ষন দেখা যায় , কিন্তু কিছু লক্ষন খুব কঠিন সনাক্ত করা কারণ সেটা কোনও ব্যাক্তি কে আক্রমণ করে জীবনে একবার । দ্বিতীয় সংক্রামণ যদিও খুব কম ধরা পরে । কিছু সাধারণ লক্ষন যেমনঃ
ফুসকুড়ি – এটা শুরু হয় সারা শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ির মতো কিন্তু এই ফুসকুড়ি ছড়িয়ে পরে শরীরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ।
দাগ – এই ফুসকুড়ি গুলো পরে গুচ্ছবদ্ধ দাগে পরিণত হয় হাতে , মুখে , বুকে , পিঠে, বাহুতে , আর পায়ে। এই দাগ গুলো ছোট হয় কিন্তু ভীষণ চুলকায়।
ফোস্কা – এই দাগ গুলো ফোস্কায় পরিণত হয় যা ভীষণ চুলকায়
শুকিয়ে যাওয়া – ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে এই ফোস্কা গুলো শুকিয়ে যায় আর ওপরে স্তর সৃষ্টি করে ।
আরোগ্য – এটা ৮ থেকে ১০ দিন লাগে এই ফোস্কা সারতে সম্পূর্ণ ভাবে আর যখন সেরে ওঠে শুঁকনো আবরণ নিজে থেকেই খসে পরে ।
এই ক্ষেত্রে সব সময় একটা বিপদ আছে সদ্যজাত সন্তানের শরীরে ছড়িয়ে পরা । যদি কেউ আক্রান্ত হয় গর্ভাবস্থার ২০ সাপ্তাহের মধ্যে তাহলে ভ্রূণ এর ভেরিসেলা সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বেশি থাকে। গর্ভবতী মহিলারা পূর্বে প্রতিষেধক পদক্ষেপ নেবেন আর অবিলম্বে ডাক্তার দেখাবেন যদি এমন কিছু লক্ষ করেন ।
যে সব রোগী জল বসন্তে আক্রান্ত হন তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাদের এই লক্ষণ গুলো সঠিক ভাবে পরিচালনা করা কারণ এর ফলে রোগের দ্বারা অস্বস্তি বোধ কম হবে । আক্রান্ত ব্যক্তি যেন বাড়ির বাইরে বের না হন যাতে অন্য লোকের শরীরে এই ভাইরাস না ছড়িয়ে পরে । ডাক্তার অ্যান্টিহিস্টামাইন আর মলম দেবেন চুলকানি কম করার । এই চুলকানি পর্যবেক্ষণ আর নিয়ন্ত্রণ করুন গরম জলে স্নান করে , হালকা জামা কাপড় পরে , আর মলম লাগিয়ে ।
প্রচুর পরিমানে তরল পানীয় খান কারণ জল কম খেলে জলবিয়োজন বা ডিহাইড্রেশন হতে পারে ।
ভারিসেলা টিকা চিকেন পক্স থেকে রক্ষা করে। এই টিকার একটা ডোজ ৯৫% সম্ভাবনা কমায় এই রোগ হওয়ার ।
Image Source – Wikimedia Commons, Pixabay, Everyday Health.
COMMENTS (0)