Home / Women Health Care Tips in Bengali / ৩৫ এর পর অন্তঃসত্ত্বা – কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা দরকার
মা হওয়া প্রত্যেক মহিলাদের স্বপ্ন , মা হওয়া মহিলাদের ও তাদের পরিবার কে সম্পূর্ণ করে । আগেকার দিনে মেয়েদের খুব অল্প বয়সে বিয়ে হতো আর বিয়ের পর শীঘ্রই সন্তান এর জন্ম দিত, এখন মহিলারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পেশাগত দিক থেকে স্বাবলম্বী হতে গিয়ে হয়ত কিছুটা দেরিতে তাদের বিয়ে হচ্ছে। বিয়ের কিছু বছর পরে যখন তারা মানসিক ভাবে প্রস্তুত হন মা হওয়ার জন্য , বয়েস বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখন । কিছু ক্ষেত্রে সেটা বেশি বয়েসে বিয়ের ফলে হয় আবার কিছু ক্ষেত্রে ৩৫ এর পর দ্বিতিয় সন্তান নিলে । অত্যাধুনিক চিকিৎসার সুবিধাতে এখন ৩৫ এর পর মা হওয়াতে কোন রকম ঝুকি নেই কিন্তু এটা খুব জরুরী কিছু জিনিস লক্ষ রাখা এই সময় ।
Table of Contents
কোনও ভালো একজন স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ দেখান বাচ্চা নেওয়ার আগে আর জেনে নিন সুস্থ ভাবে অন্তসত্ত্বা হওয়ার উপায় । চিকিৎসক আপনার বয়েস অনুযায়ী ওষুধ দেবেন যেমন ভিটামিন , মিনারেল , ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি যা সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে সাহায্য করবে ।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর , সব রকমের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত প্রথম ২ মাস। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত , চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করানো উচিত । চিকিৎসক এর সমস্ত উপদেশ মেনে চলা উচিত
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরে চিকিৎসক আপনাকে অনেক ভিটামিন , মিনারেল , আর ক্যালসিয়াম দেবে আপনার বয়েস আর স্বাস্থ্য বিবেচনা করে । এই গুলো বাচ্চাকে মস্তিস্ক আর মেরুদণ্ড এর খুঁত থেকে রক্ষা করবে । বেশি বয়েসের মহিলাদের ক্ষেত্রে এটা খুব আবশ্যক কারণ তাদের সন্তানের এই রোগ হওয়ার ঝুকি বেশি থাকে । এই সবের বাইরে , স্বাস্থ্যকর খাওয়া খুব জরুরী । সঠিক পরিমাপে খাবার খান সাথে টাটকা ফল , সবুজ শাক সবজি , গোটা শস্য , নিম্ন চর্বিযুক্ত দুধ বা দুধের পন্য । সাথে উচ্চ ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার যোগ করুন রোজকার খাদ্যতালিকায় , কিছু সাইট্রাস ফল যেমন লেবু আর সাথে বিন্স যাতে ফলিক অ্যাসিড এর গুন আছে ।
বয়সের সাথে, গর্ভাবস্থায় জটিলতার ঝুঁকি বাড়তে পারে, বিশেষত অক্টোপিক গর্ভাবস্থার ক্ষেত্রে । আপনার চিকিৎসক এর দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষায় সন্তানের জেনেটিক সমস্যাগুলির নজর রাখতে সহায়তা করে এবং এগুলির বিলম্ব ছাড়াই চিকিৎসা করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামনিসেসেসিসের মতো পরীক্ষাটি ক্রোমোজোমাল জন্মগত ত্রুটির সঠিকতা সহ সনাক্ত করতে পারে তবে অ্যামনিসেসেসিসিস গর্ভপাতের কারণ হতে পারে, তবে, আপনার চিকিৎসক আপনাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সুপারিশ করবেন ।
পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি আপনাকে ধূমপান আর মদ্যপান বর্জন করতে হবে । ধূমপান সদ্যজাত বাচ্চার ওজন কম করিয়ে দেয় আর প্রি – এক্লাম্পসিয়া নামক রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় ।
নিয়মিত অনুশীলন , যোগাসন , হাটা , আর হালকা ব্যায়াম আপনাকে সক্রিয় রাখে , চিন্তা মুক্ত রাখে , স্বাস্থ্যকর রাখে আপনার অন্তঃসত্ত্বাকালীন সময়ে । কিন্তু মনে রাখবেন চিকিৎসক এর পরামর্শ না নিয়ে কিছু করবেন না ।
অন্তঃসত্ত্বা কালীন সময়ে নিজের ওজনের দিকে লক্ষ্য রাখা খুব আবশ্যক কারণ এতে আপনার বাচ্চার ক্রমবিকাশে ক্ষতি হতে পারে যার ফলে অকাল প্রসব হয় । ওজন বৃদ্ধি পেলে উচ্চ রক্ত চাপ বৃদ্ধি পায় আর নানা রকম রোগ দেখা যায় যেমন ডায়বেটিস । এটা আবশ্যক নয় যে ৩৫ এর পরে অন্তঃসত্ত্বা হলে ঝুকি সবার হয় কিন্তু সাবধানতা অবলম্বন আর সঠিক সতর্কতা দরকার
Image Source: www.pixabay.com, www.wikipedia.org, www.maxpixel.net, pixel, flicker, pixabay
COMMENTS (0)