আপনি হয়তো শুনেছেন প্রাচীন কালে তামার পাত্র তে জল খাওয়ার অভ্যাস , কিন্তু সাম্প্রতিক কালে ফিল্টার এর যুগে যেমন উভি ( UV ) আর আর ও ( RO ) সংশোধক আসা তে মানুষ তামা ব্যবহার করা প্রায় ছেড়ে দিয়েছে । প্রাচীনকালে আয়ুর্বেদের মতে পানীয় জল তামার পাত্রে ব্যবহার মানুষের শরীরের প্রচুর উপকারিতা আনে ।
তামার পাত্রে জল খেলে মস্তিস্ক উদ্দীপিত হয় । এতে মস্তিক কে বেশি সক্রিয় , মস্তিস্কের ক্রিয়া ধারালো , আর বুদ্ধি প্রখর করে ।
তামা তে আছে শক্তিশালী বিরোধী প্রদাহজনক বৈশিষ্ট্য । এই বৈশিষ্ট্য খুব কার্যকারী ব্যাথা আর জন্ত্রনার জন্য , বিশেষ করে সেই সব ব্যাথা যা আর্থারাইটিস আর (rheumatoid ) ফোলানো আর্থারাইটিস এর উৎস । এর সাথে যোগ করে , তামা হাড় আর রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা কে শক্তিশালী করে ।
তামা হল এমন এক মূল উপাদান মেলানিন – একটি রঙ্গক যা আপনার চোখের রঙ, চুলের রঙ আর ত্বকের রঙ নিয়ন্ত্রণ করে । তামা নতুন কোষ জন্ম দেয় যা ত্বক পরিপূর্ণ করে আর ত্বক নরম আর কোমল বানায় ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা লক্ষ্য করেছেন বেশির ভাগ মানুষ যারা থাইরয়েডে ভুগছেন তাদের শরীরের তামার অভাব দেখা গেছে । যদিও শরীরে তামার নিম্ন স্তর দেখা যায় যাদের হাইপার থাইরয়েড আছে ( বেশি থাইরয়েড হরমোন ) আর যারা হাইপো থাইরয়েড এর ভুগছেন ( নিন্ম স্তর থাইরয়েড হরমোন এর ) তারাও তামার অভাব শরীরে বহন করেন ।
তামা তে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট আর নতুন কোষ জন্ম দেওয়ার বৈশিষ্ট্য, এটা শরীর কে স্বাধীন মৌল থেকে রক্ষা করে যার ফলে ত্বকে সূক্ষ্ম দাগ আর বলিরেখার উৎপত্তি হয় ।
তামা শুধু খাদ্যনালি পরিষ্কার আর বিশুদ্ধ করে তা শুধু নয় , যকৃৎ (লিভার ) আর বৃক্ক (কিডনি) র কাজ কেও নিয়ন্ত্রণ করে । তামা শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বার করে আর পুষ্টি কে সঠিক ভাবে খাবারের দ্বারা শরীরে বিভিন্ন অংশে পৌছাতে সাহায্য করে ।
তামার পাত্রে জল রাখা আর তামার কাপে জল খাওয়া প্রাকৃতিক ভাবে শুদ্ধি তৈরি করে শরীরে । তামা সেই সব অনুজিব ধংস করে যেমন ব্যাকটেরিয়া , ফাঙ্গি আর জল কে পানের উপযোগী করে তোলে ।
তামা শরীরে থাকা নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে সব থেকে প্রাথমিক উপাদান , নতুন কোষ জন্ম দেওয়া থেকে শুরু করে আয়রনের শোষণক্রিয়া , তামা শরীরের জন্য খুব কার্যকারী খনিজ পদার্থ ।
তামার অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট বৈশিষ্ট মুক্ত মৌল থেকে লড়াই করে আর তাদের ক্ষতিকারক প্রভাব কে অকার্যকর করে । এই মৌল গুলো ক্যান্সার হওয়ার মূল কারণ । এ ছাড়াও তামা ,রক্তের চাপ্, হার্ট রেট , নিন্ম ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল , শরীরের ট্রাইগ্লিসারাইড কম করতে সাহায্য করে ।
সময়ের সাথে আমারা বুঝেছি কি ভাবে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এই তামার ব্যবহারের সুবিধা নিত । তাই তামার পাত্রে জল খাওয়া শুরু করে দিন আর দৈনন্দিন জীবনের গ্লাস বর্জন করুন।